ছোট্ট তুলতুলে তোমার মেয়েটি
খেলবে বাগানে; সমান বয়সী ছেলেটির সাথে
বিকেলে ফুল্ল বারান্দায় সেলায়ের কাঁটা হাতে
কৌতূহলী তুমি; চেয়ে চেয়ে দেখবে নীরবে।
ফুল, ফল, পাতা, ধুলাবালি কৃত্রিম বাসনকোসন
অবুঝ সংসারে ওরা হেসে লুটোপুটি, মেয়েটি তোমার
হঠাৎ দৌড়ে ঘর থেকে এনে একটি ফুলের মালা
পরাবে সাথির গলে।

ফোলা ফোলা গাল, লাল টুকটুকে,
কোকড়ানো চুল, নাক, মুখ, ভুরু, চোখ দুরন্ত চঞ্চল
সেই মায়াবিনী হাসি, হুবহু তোমার প্রতিকৃতি যেন শৈশবের।
হঠাৎ তোমার স্মৃতিরা মেলবে দুরন্ত ডানা
গোধূলি আকাশে ঝাঁক ঝাঁক বলাকার মতো
শৈশব, কৈশোর, যৌবনের সুরেলা সংগীতে ভরে যাবে মন।

স্মৃতি এত সমুজ্জ্বল ভাসমান ছবি!
স্কুল-পালানো কিশোরী কার চুম্বনের প্রতীক্ষায়
ছুটে গেছ বল্গাহীন হরিণীর মতো?

যৌবনের প্রতিটি মুহূর্ত অস্থির আবেগে মেঘের নদীর মতো
জোয়ারের গানে গানে কার ধ্যানে তপস্যায় কেটে গেছে রাত্রি দিন
কার কণ্ঠে গাঁথা বকুলের মালা দিয়ে টেনে নিয়েছিলে বুকে?

আজ তারই জীবন্ত চিত্রালি ভেসে ওঠে চোখে
হঠাৎ সানায়ের সকরুণ সুর বাজে আজ হৃদয়গহিনে
কেঁদে ওঠে প্রাণ কোন্ অকারণ বেদনায়
হায় স্মৃতি এত সমুজ্জ্বল ভাসমান ছায়াছবি!