ভারতের মানচিত্রে
রক্তে মাখা সবুজ ভূখণ্ড
তার ইতিহাস খুব বেশি নয়,
আদি ভারতের মতো বহিরাক্রমণ আর
প্রতারক মীর জাফরের।
হাঙরের মতো গোগ্রাসে গিলতে যেয়ে
পদ্মার ইলিশ কাঁটা বিঁধে বিঁধে গতায়ু হলেন
একনেতা একদেশ।

করতোয়া থেকে যে কুমির খাল বেয়ে
ঢাকা সেনানিবাসে জীবনদাতার সংহারে প্রাণ,
ওঝার মতন অকালমৃত্যুর কোলে
ঢলে পড়ে আপন ঝাঁপির সর্পাঘাতে।

তারই রোপিত ধান-দূর্বা, কলাগাছ খেয়ে
জীবন্ত হল জীবন্মৃত বৃদ্ধ ভেড়া এক,
ফোকলা দাঁতের হাসি আর তাঁর আন্তর্জাতিক
স্টেডিয়ামে মধ্যবিরতির পূর্বেই রেফারি বাজালেন
বাঁশি।

সমবেত কৌতূহলী দর্শককে নিরুত্তেজিত রাখতে
নেমে এল সাঁজোয়াবাহিনী, ট্যাংক, উদ্ধত সঙ্গিন
বন্ধ করে দিয়ে সব গেট
চেপে ধরে জনতার কণ্ঠ আর অণ্ডকোষ।

অ্যাটেনশন যে যেখানে রয়েছ থাকো নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে
বাতাসেও কারো যেন মাথার নড়ে না চুল,
খুলি উড়ে যাবে, যাবে লালঘরে তবে।
বাজারের থলে থেকে যেন না লাফিয়ে পড়ে
কোনো কৈ, মাগুর, চাল, ডাল, তেল, নুন,
মরিচের দাম সাধ্যাতীত হয় হোক, টুঁশব্দটি করবে না
কেউ,
প্রয়োজনে ন্যাংটা থাকো, উপবাস করো, কৃচ্ছ্রকর্ম
সাধন ছাড়া কি দরিদ্রজাতের উন্নতি সম্ভাবে?
নেই, চিন্তা নেই কোনো, মাল ঝাড়ো, সব হবে
শুধু প্রভুর কীর্তন গাও জয় হরি, হরি বোল।