যারা ফেলে রেখে শহীদের লাশ
চোরের মতো পালিয়েছ ঘরে
কাপুরুষ দরজার খিল এঁটে তবু পাওনি রেহাই।
বক্তৃতার ব্যবসায়ী, মাখন-পা’রুটি-জেলি,
ষোড়শীর ঠোঁটে চুমু না-খেয়ে পারোনি যেতে
জনসমাবেশে; পুলিশের ভয়ে করেছ পাজামা নষ্ট।
স্বাভাবিক জীবনের ধুয়া তুলে শহীদের রক্তের সাথে
করেছ বিশ্বাসঘাতকতা, সাম্রাজ্যবাদের কণ্ঠে কণ্ঠ
মিলিয়ে নির্লজ্জ; ছাত্রদের হঠকারী বলে মাতম করছ।
যারা ছাতা ধরেছ পশ্চিমে, ভেবেছ সমরবাদ
দন্তহীন তোমাদের টসটসে গালে চুমু দেবে
আর মসৃণ পাছায় আদরে বুলাবে সোহাগের হাত,
যারা হত্যা, খুনের, গুমের প্রতিবাদে রাজপথে
আসতে পারোনি প্রতিরোধে, যারা খুঁটিবাঁধা রামছাগলের মতো
খেতে চাও ঘাস শুয়োরের খোঁয়াড়ে, পুরাতন
বোতলের ‘নতুন বাংলা’ মদ, তা তা থৈ থৈ
নাচছ ময়ূরপুচ্ছধারী কাক; পিরীতি সংলাপে
‘জন্তর মন্তর ঘরে’ হালুয়া-রুটির ভাগ-বাটোয়ারা
নিয়ে মহাব্যস্ত, খুনিদের সাথে দাঁত কেলিয়ে হাসছ,
সেইসব বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক, হিজড়া-দালাল,
পুরাতন পাপীদের পাছায় আজকে কষে লাথি মারো,
লাথি মারো, যেন আর কোনোদিন কেঁদে না ভাসায়
বুক, সাধারণ মানুষের দুঃখে, ভণ্ড, প্রতারক
গণবেশ্যাদের এইতো সময় নাখোশ মুখোশ উন্মোচিত করবার।