দু’কূল উপচে পড়া নদীর কান্নাও বোঝা যায়
খা খা পাহাড়ের নিঃস্তব্ধতাও ফুটে উঠে নিঃসঙ্গ দিগন্তে
ব্যথিত আকাশ ঝরে পড়ে শ্রাবণধারায়
শুধু প্রকৃত প্রেমিক অব্যক্ত নিজেকে
বোঝাতে পারে না কোনোদিন।

নীরব কান্নার জমাট অশ্র“তে ভারী বুক
বিষণœ মেঘের মতো নীল হয়ে থাকে স্তব্ধতায়
পৃথিবীর সব সুর বাতাসের গান মুছে যায়
হাহাকারে ভরে ওঠে মহাকাশ, সবগুলো তারা
খসে পড়ে মৃত মাছির মতন চির-অন্ধকারে
ডুবে যায় চাঁদ কোনোদিন জাগবে না আর।

ভালোবেসে নিঃস্ব হতে হতে নি:স্বতর তবু ভালোবেসে
কষ্টের উপঢৌকন ছাড়া মেলেনি কিছুই
হাঙরপ্রেমের তীক্ষè দাঁতে ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত হৃদয়
রক্তের প¬াবনে ভেসে গেছে বারবার
নিঃসীম মরুভূ বারবার কেঁদে উঠেছে নিঃসঙ্গ বুকে।
এত ঝড়, এতটা প¬াবন, এত যে রোদন, এত হাহাকার
কেউ কোনদিন এসে থামাবে না এই বিপুল বিনাশ
ধ্বংস মহামারী মানবাত্মার।

১২.১২.০৫, সকাল
সেগুনবাগিচা