আমি যখন তোমার সঙ্গে কথা বলি
বাকরুদ্ধ হয়ে আসে আমার কেননা
চারিদিকে মূঢ় নীরবতা যেন মৃত চাঁদ
আমরাও যেন নীল নভোচারী, একাকী পথিক
চারিদিকে কেউ কোনো সত্যকথা বলতে পারে না আজ

যখন তোমাকে বিস্রস্ত করি চুম্বনে
যখন চুম্বকের মতো আকর্ষণে দুই ভিন্ন
মেরুতে বসেও হই আমরা মিলিত
আমার বুকের নিচে বাসা বাঁধে দুখে, ভয় ও বিচ্যুতি
পদ্মার উত্তাল ঢেউ আছড়ে আছড়ে আজ
মনে আনে ঝড়, আমি কী করে ভুলে যাই
আমার স্বদেশ আজও শত্র“মুক্ত নয়?

আমি যখন হাত রাখি নিটোল তোমার স্তনগুচ্ছে
ভয়ানক অপরাধী বলে মনে হয় নিজেকে আমার
অভাবে প্রহৃত অপুষ্ট যৌবন কত যুবতীর কথা মনে পড়ে যায়

তখন তোমাকে আর আমার ভালোবাসতে ইচ্ছেই করে না
বুকে নিতে ঠোঁটগুচ্ছে চুমু দিতে ভীষণ বিতৃষ্ণা জাগে

মনে হয় সমস্ত হিংস্রতা নিয়ে
এখনি ঝাঁপিয়ে পড়ি শ্রেণীযুদ্ধে, ন্যায়ের সংগ্রামে।
শ্রেষ্ঠ সময়

সেইতো শ্রেষ্ঠ দিন জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল
পাশাপাশি বাম হৃৎপিণ্ডের কাছে বসেছিলে তুমি
চোখে কথা ছিল হাজার যুগের মুখে তো বলোনি কিছু

ক্লান্ত প্রহর কেটেছে নীরব চোখে চোখে গেছে বেলা
বলিনি কিছুই বলিনি আমরা হৃদয় বলেছে কথা
সেই কথাগুলি মালা গেঁথে আজ কবিতা করেছি আমি

হয়তো তুমিও বলতে চেয়েছ মুখের ফোটেনি ভাষা
কত কথা বুঝি গুমরে মরেছে হৃদয় হ্রদের জলে

বোঝো নাই তুমি কতখানি প্রেম ভালোবাসা ছিল বুকে
বলোনি তো তাই কথাগুলো সব লুকিয়ে রেখেছ মনে
বলোনি বলেই আমার জীবনে এতটা রাত্রি নামে

আঁধারে ঢেকেছে সকল আমার বেদনায় ডুবে থাকি
সব ভাষা নিয়ে একাকী নীরবে তাইতো কবিতা লিখি
আসে ভোর, ফিরে আসে রাত তবু সেদিন ফেরে না আর