শামুকের মতো গুটিয়ে রেখেছ সব
খোলোনি কিছুই এত ভীরু যেন লুটে নেবে মহামূল্যবান
রতœরাজি কোনো দুর্দান্ত ডাকাত। মজুতদারের মতো করেছ সঞ্চয়
যেন কোনো আকালের দিনে চড়ামূল্যে বিক্রি করে দেবে
কোনো ধনিক ক্রেতার কাছে কিংবা চড়া সুদে কোনো
মহাজনের মতো দেবে ধার।

এই পৃথিবীতে যারা ভাবে না নিজেকে ছাড়া কিছু
শুধু নিজেকেই ভালোবাসে, চায় শুধু নিজেরই ভালো,
নিজ প্রেমে মত্ত থাকে সারাক্ষণ। আয়নার সমুখে
খুঁটিয়ে দেখে নেয়, দেখে নেয় সব ঠিকঠাক আছে কি না
কপালের চুল, সরু ভুরু, শুভ্র স্পষ্ট, ঘুরে ঘুরে
দেখে নেয় বক্ষ শৃঙ্গ, কোমরের উপত্যকা,
মসৃণ পিঠের ঢালু এবং এক সুবিশাল অহংকারে
হেঁটে যায় পেন্সিল হিলে। আপন মুগ্ধতায় ডুবে
থাকে দিবারাত্রি অ্যাকুরিয়ামের সোনালি মৎস্যের মতো।

পৃথিবীর আকাশে ফুটেছে একটি নক্ষত্র মাত্র,
ছুটেছে সৌরভ মদিরা, সমস্ত ফুলের ঘ্রাণ তারই
যুগল পদে চুমু দেবে পৃথিবীর প্রেমিক-সকল,
পৃথিবীর ভূগোল ব্যাপিয়া তুমি তাঁদেরই একজন
সহজেই তাই বলতে পেরেছÑ ‘আমি শুধুই আমার;
আর আমি নিজস্ব ভুবনে ফুটিয়ে অজস্র ফুল
ভাবি এই পৃথিবীর ধনে-ধানে ধন্য আমি এই চাঁদ, সূর্য,
নীলিমার আলো নদী ও পাখির গান মানুষের
অফুরন্ত সম্পদের ভাগীদার আমি কিঞ্চিৎ, আমার একার
কিছু নয় তুমি শুধুই তোমার আর ‘আমি হতে চাই
সকলের;