না পারো না, বিসুভিয়াসের মতো ওই চোখ থেকে
পারো না কিছুই তুমি দিতে
ক্ষণিক চাহনি ছাড়া।

ঘন কালো কাজলের ছায়াতলে
টলমল, ছলছল ও কি পূর্ণ নদী,
নদী তো অতল, সুগভীর মাছেদের ভালোবাসা,
অবারিত ঝিনুকের প্রেম।

নদী তো কখনো ফেরায়নি তৃষ্ণার্ত চাতক
লুকিয়েছে আপন প্রণয়,
নদী নয় অনুদার; লখিন্দর ঘুমায়েছে নিস্পন্দ
নিশ্চিন্তে নিরাপদে সরল শিশুর মতো স্রোতস্বিনী বুকে।

নদী তো নি¯প্রাণ, নিরাশ্রয়ী নয়, গৃহহীন বেদের বহর,
রাতজাগা বাউলের চোখ, ব্যর্থ ভাটিয়ালি, গহিন রোদন,
নদী তো নৌকার গলুইয়ে বসা যুবকের করুণ বাঁশির সুর,
মধ্যরাতে গলে পড়া জোছনার শিশির।

তুমি তো নদীর মতো অকৃপণ নও,
অবিরাম অবগাহনে সতৃষ্ণ নাবিকের প্রাণ
জুড়িয়ে কি দিতে পারো সুশীতল তোমার ধারায়?

তাহলে যে কেন চেয়ে থাকো তুমি
নদীর স্বরূপা হয়ে; জলের মমতা নিয়ে
নদী নও তবু তুমি যে নদীর আভাস।