ঘুমের ভেতরে আমি চিৎকার করে উঠি
ওরা কারা রক্তমাখা হাতে আমাদের দিকে আসে?
স্নায়ুর ঘামেতে ভিজে যায় নকশির কাঁথা
অসহায় এক পাখির মতন আমি জেগে উঠি।

আমার মায়ের নাকফুলটুকু তারো দিকে দ্যাখো লোভাতুর চোখ
ভয়ার্ত চিৎকারে মা আমার তার খোকার দিকেই ছুটে আসে
আমি তার দিকে এগোতে পারি না, এগোতে পারি না,
কেবলি স্রোতের টানে কূলহারা নৌকার মতন দূরে সরে যাই।

নিমগ্ন রাতে জোছনার অধর ছুঁয়েছে দিগন্ত মাঠ
ভাঙা জানালার ধারে পাশে ঘুমে অচেতন
আমার নারীর দেহ আঁকড়ে ধরেছে নপুংসক,
ঘুমের ভেতরে আমি চিৎকার ক’রে জেগে উঠি।

খুলে ফেলি দরজার খিল, ছুটে যাই গোয়ালের ঘরে
আমার ষাঁড়, আমার গাভী, চুরি করে নিয়ে যায়
কারা এই শীত রাতে?

আমার শালিধানী জমি, খেসাড়ির ভূঁই
লাইঠ্যাল নিয়ে কারা বেদখল দিতে আসে?

ঘুমের ভেতরে আমি চিৎকার করে উঠি:
অত্যাচার তোমাকে মানি না, দুরাচার তুমি দূরে সরে যাও।

আমি যে ঘুমাব আমার নারীর বুকে আমার ফসলের ঘ্রাণে।

২০.১২.৭৮
ব্যক্তিগত পাঠাগার, সিরাজগঞ্জ।