তিন ঘণ্টা তিন দিন নয় তিন যুগ
কাঁদছি কাঁদছি কেঁদে যাচ্ছি আমূল বিরহী
তুমিও কি একা একলা একাকী ওলো মধুবতী !

হেমলক যার একমাত্র সুধা কী গরল তুমি চাও তার কাছে?
নীলকণ্ঠগানে বিষণœ আকাশে কেবলি ঝরছে কান্না
কষ্ট যার একমাত্র অনুভূতি
কোন্ কষ্টের কথা বলবে তুমি তাকে?
সুখের নাগরদোলা জীবন যাদের
আমি তাদের কেউ নই, কেউ নই ।

তবু বেঁচে আছি, বেঁচে থাকি শীত-গ্রীষ্মে ঝড়ে-ঝঞ্ঝায়
প্রতিদিন পদপিষ্ট বিবর্ণ ঘাসের মতো
তোমার হৃদয়ে শুধু মধু আমার কেবলি রক্তপাত!

আমি কি শোফেন হাওয়ার
আমি কি দুঃখ-বিলাসী দুঃখের বেসাতি করি ?

নিন্দুকের সব গালাগাল মেনেছি নীরবে
সুখচুমু দিতে গেলে রক্তে ভিজে ওঠে ঠোঁট
আমি যাকেই ছুঁয়েছি সেই আজন্ম দুঃখী হয়ে গেছে ।

কার শাপে এত অভিশপ্ত
কার ব্যথিত নিঃশ্বাসে ভস্ম হয়ে যায় সবকিছু
আজীবন পুণ্য খুঁজে খুঁজে এত শাপ-পাপ
সঞ্চয় করেছি আমি ?

তবুও কি আমি আর কাউকে দুখিনী বানাব
দুঃখে দুঃখে কোনোদিন কি উঠবে জ্বলে
সুখের আগুন ?

২৭.০৬.০৫ ঢাকা, ভোরবেলা