ধ্বজাধারীদের পাছায় চাবুক পদলেহীদের লাথি
বুর্জোয়াদের মুখে গামবুট মারি
সর্বহারার বিজয় নিশান
ওড়াতে ওড়াতে আমি
হয়েছি শামিল চলমান শ্রেণীযুদ্ধে
নিজেকে করেছি সৈনিক জনযুদ্ধের
কবিতাকে হাতিয়ার

কবিতাকে যারা বসিয়েছে পথে
রাজভোগের উচ্ছিষ্টে তৃপ্ত, হাড়গোড় নিয়ে করে
কাড়াকাড়ি
সেইসব উদ্বৃত্তপূজারী কুক্কুর তাড়াতে
আমি আজ ঐতিহাসিক চাবুক ধরেছি শক্ত হাতে

কবিতা কাহারে বলে শোন্
শোন্ যত বাথানের পালিত শূকর
হে ই ও হে ই ও বলে যে করাত
টানছে
তাকে দ্যাখ্
ভোরের বাঁশির ডাকে যে যায়
কুয়াশার মতো কারখানায়
শালা
তাকে দ্যাখ্
ফালি ফালি করে এই মাটি
বুনে দেয় ধান শস্য সবুজ বীজ
ঐ অন্ধ চশমার ফ্রেম
ফেলে দিয়ে
তাকে দ্যাখ্
দ্যাখ্ বেশ্যার দালাল
দু-চোখে চারিঞ্চি নোখঅলা আঙুল ঢুকিয়ে দ্যাখ্

ঐ জ্বলে মাঠে শস্যে সবুজ প্রান্তরে
আমাদের প্রিয়তমা কিষাণীর শ্রেণীগর্ভ ধ্র“পদ যৌবন

ভীরু নই কাপুরুষ নই নই খরগোশ কবি
নীল আকাশকে যারা মিগ রণক্ষেত্রে
ফেনিল সমুদ্র
কোকো কফি আঙুর রাবার
খেজুর তামাক
পাট ও চায়ের বাগানকে
রাতারাতি যুদ্ধের ঘাঁটিতে পরিণত করে
মারাত্মক মারণাস্ত্র তৈরি করি
আমি তাদের বিরুদ্ধে

সাম্রাজ্যবাদের দালাল
নয়া সাম্রাজ্যবাদের পা চাটা
আধিপত্যবাদের লেজুড়
তোমাদের ক্ষমাহীন মৃত্যুদূত আমি

চারিদিকে এত আস্ফালন কিসের
কিসের এত উল্লাস, গোপন চুক্তিবাজ!
রাজাকার আলবদরের পোষক প্রভুরা শোনো
একটি মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকতেও
দেব না এক ইঞ্চি ভূমিও আমাদের জেনো
শোনো দুর্ভিক্ষের মহানায়কেরা শোনো
তোমাদের রিলিফ কম্বলগুলি আমাদের
ফাঁস গলায় হয়েছে লটকানো

আবার নখর ধারালকারীরা শোনো
শোনো শ্বেতসন্ত্রাসবাদী
লাল প্রতিশোধ তুলব এবার
জানো আমরাও প্রতিরোধযুদ্ধ জানি
শ্রমিক রক্ত দেবে না আর
কৃষকের লোহু রাঙাবে না জমি
জননেতাদের মৃত্যুপ্রহর গুনতে হবে না তিল তিল
শোনো
তোমাদেরই রক্তে লেখা হবে এদেশের
ইতিহাসে রক্তপাতের শেষ ইতিহাসখানি

আমাদের অনৈক্যে তোমরা আজ যতই হও না পুলকিত
অবশেষে মেঘনার মোহনার মতো
সকল বিভেদ ভুলে আমরাও হবই হব একদিন একত্র মিলিত

আঘাতের পর আঘাতে নিশ্চিহ্ন হবে
ঘুণেধরা পুঁজিবাদ
গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ভেঙে পড়বে হাড়গোড় কুকুরের
নুলো ডানা নিয়ে কাতরাবে ধূর্ত ঈগল সাম্রাজ্যবাদ

আমাদের সৈনিকেরা জেগে উঠুক
আমাদের সন্তানেরা জেগে উঠুক
আমাদের ভবিষ্যৎ আমরাই করব নির্মাণ
শুধু কবি নই কমরেড
ডাক দিই
ডাক দিয়ে যাই
জনযুদ্ধ