মাও-সে-তুঙ!
সারাবিশ্ব জুড়ে নাম, কী আশ্চর্য এক নাম
লৌহ-দৃঢ় ইস্পাত-কঠিন মুহূর্তে ছড়ায় বিদ্যুৎ
শব্দ মাত্র যেন কেঁপে ওঠে প্রতিটি হৃদয়।

মাও-সে-তুঙ কৃষক শ্রমিক প্রেমিক কবি
দার্শনিক বুদ্ধিজীবী নেতা যোদ্ধা সংস্কৃতিবান
সর্বোপরি একজন মহান শিক্ষক।

মাও আকাশের মতো; বজ্র চমকায় ঝড় তোলে
সবুজ বৃষ্টিধারা প্রবাহিত ক’রে দেয়
খুব গাঢ় নীল মেঘে পৃথিবীকে দেয় ছায়া।

অস্তপূর্বে জাফরানি রঙে ছেয়ে দিয়ে যায় ধূসর পৃথিবী
মাও জ্বেলে দেয় আলো অজস্র তিমিরহননের সে নক্ষত্র
মাও বিকিরণ করে চাঁদের মতন স্নিগ্ধ আলো
মাওয়ের আবির্ভাবে প্রকৃতি প্রকৃত আলো ঝলোমলো হল।

মহাসমুদ্রের মতো বিশাল গভীর তার প্রজ্ঞা
তিনি মহামতি মহাপুরুষ মহান ব্যক্তি
তার তুলনা সে নিজে অন্য কেউ নয়।

তার মানুষের প্রতি মনোরম প্রেম
নিঃসার দরদ, তীব্র জ্বালাময়ী অনুভূতি
ফোঁটা ফোঁটা ক’রে জমা হয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

মাও আগুনের মতো জ্বলে উঠে শোষকের ভষ্ম¯তূপের ওপর
বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত লাঞ্ছিত
বিজয়ের লাল ঝাণ্ডা উড়িয়ে মুক্তির গান গেয়েছেন।

নারী শিশু যুবা বৃদ্ধ সবার জন্যেই তিনি সমাজ নির্মাণ করেছেন
তরুণ তরুণীদের হাতে তত্ত্ব-পুস্তক হাতুড়ি শাবল রাইফেল
তুলে দিয়েছেন ধ্বংস ও সৃষ্টির জন্যে, তারা লড়ছে-লড়বে।

একদিন শ্রেণীর দেয়াল উপড়ে সবাই
মার্কস লেনিন মাও-সে-তুঙ হবে
মাওয়ের মৃত্যু নেই, মাও অমর হলেন।

৯.১০.৮৬
সিরাজগঞ্জ।