ঢাকা কলেজের মাঠে প্রতিদিন দেখি
আল্লাহর ফেরেশতার মতো শাদা
একটি গরিব গাভী
রাত্রে, মাঠে, ঘাসে, জোছনায় চরতে দেখি তাকে
কেমন নির্লিপ্ত উদাসীন এক দার্শনিকের মতন

পাসপোর্ট পরিত্যাগী বিদেশিনীর মতন স্বর্ণকেশী
জোছনা এসে গাভীকে জড়ায়, নড়েচড়ে ঘাসে
জোছনা এক পরী, একজোড়া দুধসাপ নিরীহ গাভীটি
নদীকে প্লাবিত করে সুন্দরের এত সমারোহ

সকালের কাঁচ ভেদ করে দেখি খুঁটিবাঁধা প্রাণী
আনমনে কাটছে জাবর, লালা বয় ঝরে অশ্র“ সমান সজোরে
রোজ ভোরে দারোয়ান তিনসের তুলে নেয় অভ্যাসের দুধ
ভরাট ওলান জুড়ে স্বাস্থ্য গড়ে অধ্যক্ষ দুহিতা
নীরব অশ্র“র দিকে তাকাই না আমি যখন দাঁড়াই
সর্বগ্রাসী স্বাস্থ্যের সম্মুখে, সুপুষ্ট স্তনের নিচে
জমা হয় মেদ মাংস প্রাণের প্রবাহ

কিছুদিন আগে মাত্র অকালপ্রয়াত
শূন্যঘর বাছুরের স্মৃতি
হায় গাভী, তোমার কান্নায় আমি অকস্মাৎ
শুনি বাংলার কিন্নর কণ্ঠ
চিরদনি শোষিতের গীতি