পনেরোশো সালের কবি
কী বলে তোমাকে অভিবাদন জানাব
সর্বকালজয়ী রবি কবি নই পৌঁছবে কি এ শুভেচ্ছা?
তবু লিখে রেখে যাই সামান্য এ পঙক্তিমালা।

চৌদ্দশো সালের দ্বারপ্রান্তে ঠাকুরের মনোবাঞ্ছা
পূর্ণ হয় বারবার পাঠ করি তার বাণী।

দখিন দুয়ার নেই, নেই দখিনা হাওয়া
হিলোলি­ত বসন্তবাগান নেই কুহুতান
উতলা হয় না প্রাণ ফাগুনের পুষ্পরেণুগন্ধে
ফোটে না কুসুমকলি হৃদয় চাষাবাদে
ধ্বনিত হয় না কোনো আনন্দসংগীত বুকে।

দুঃখ দৈন্য ক্ষুধা জরা মৃত্যু হাহাকার
হতাশার বালুচর নিত্য সঙ্গী যার
চৌদ্দশো সালের দুঃসময়ের কবি
কী অভিনন্দন-বার্তা পাঠাবে শতবর্ষ পরে
নতুন কবির কাছে?

সংশয় রয়েছে ঢের পৃথিবীর পরমায়ু নিয়ে
পরমাণু ক্ষিপ্ত আজকের ভয়ংকর ভূগোল
কতদিন বেঁচে রবে শান্তি আর সভ্যতার মিথ্যা আড়ম্বরে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর আগামির পৃথিবীতে
মানবিক আবেগানুভূতি কতটুকু রবে
অবশিষ্ট রবে?
কবিতাশিল্পের আবাদ করবে মানুষ না রোবট
সেও তো অজানা!

পনেরোশো সালের অজ্ঞাত সেই রোবট বা কবি
তোমার উদ্দেশে শুধু বলে যেতে চাই
আমরা তো ছিলাম; হৃদয় মন প্রেম ও
প্রকৃতিই ছিল কৃষিজীবী আমাদের প্রাণ
ভালোবেসে দুঃখ পেয়ে আমরা তো ভালোবেসেছি আবার
পাড়ভাঙা হাহাকার বুকে নিয়ে বেঁধেছি ফের ঘর
আমাদের নিরন্তর সংগ্রাম হয়নি শেষ কোনোদিন।

ঢাকা