তোমাকেই মনে পড়ে
তোমার আনন্দাপ্লুত মুখ
সুখ ও সৌন্দর্যের বেদিমূলে উৎসর্গিত
আমারই প্রাণ-নিংড়ানো হাসির পদ্ম
যেন ফুটে আছে তোমার সংসার সরোবরে।
জানি তুমি ভুলে গেছ
তবু তোমারই কম্পমান স্মৃতি
দুলে দুলে ওঠে নিয়ত বাতাসে।
আমার স্বপ্নের মধ্যে ভেসে ওঠে
পালতোলা নৌকার মতন স্মৃতির বহর
সহস্র উত্তাল দিন ঢেউ তোলে,
ফেনায়িত প্রেমে ভেসে যাওয়া সেইসব স্মৃতি
আজো কেন বুদবুদ কাটে মনে?

তোমাকেই মনে পড়ে
কোনো বৃষ্টিঘন নির্জন দুপুরে
একাকী হাওয়ায় পাতা ঝরারাতে
দূরে এক গ্রামে ঝাউবনে জোনাক জ্বলার মতো
জ্বলে নিভে, নিভে জ্বলে আছ এই বুকে।
এত যে মড়ক মহামারী ঝড় ও বন্যায়
ধ্বংস দৈন্য হাহাকার
তবু তোমার স্মৃতিকে দীর্ণ করতে পারেনি কেউ।

আমার আত্মার অবিনাশী গান হয়ে
তুমি যেন বেঁচে থাকো প্রতিটি দুর্দৈবে
বন্দিশিবিরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে লড়তে
তোমারই মুখ মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে ওঠে
ঝাঁঝালো সন্ত্রাসে শত্র“র নিক্ষিপ্ত বুলেটের
সামনেও চকিতে ঝলসে ওঠে তোমারই মুখ।

ক্ষুধা অনাহার অসুখের যন্ত্রণায়
তবু তোমারই মুখ ভেসে ওঠে
সুখ ও সৌন্দর্যে উপ্চে তোমারই মুখ।