সংঘজ্ঞান নেই কবিদের যদিও তুখোড় আড্ডাবাজ
সুরা আর সাকি পেলে আর কিছুই নেই দরকার।
খই ফোটে কবিতার মশগুল শব্দ আর ছন্দে
অর্থকষ্ট অপবাদ যা থাকে থাকুক মন্দ ভালে
সাত খুন মাপ যার পরোয়া করবে রক্তচক্ষু কার?

পতিতা পরস্ত্রী কিংবা কিশোরী যুবতী ঘুঁটেকুড়োনী ও
রাজকন্যের নিকটে প্রেম নিবেদনের সুখ্যাতি আছে যার
প্রতিদিন ফোটায় যে ফুল সুবাসিত হৃদয়ের টবে
কন্সটিটিউশন বুঝুক না বুঝুক সে বোঝে হৃদয়ের পাঠ।

মৌমাছির মতো পরিশ্রমী সেও, দিনরাত্রি ব্যস্ত আহরণে শব্দমধু,
সুনিপুণ সংগঠক সেও কী বিচিত্র সমাহার গড়ে বর্ণমালার
মাঝে মাঝে মিছিলে ও সভাসমিতিতে যোগ দেয়,
ক্ষোভে ও বিক্ষোভে বিরোধ বিদ্রোহ বিক্ষোভে শামিল হয়,
সমাজ ও সংসারে ফুটপাত ও রাজপথে মিলেমিশে থাকে
দায়দায়িত্ব পালন করে পেশা ও ব্যবসায় মন দিতে চায়
কখনো কখনো সংঘবদ্ধ হয়ে গড়ে তোলে প্রতিবাদ।
তবু একা বড় একা চিবুকের নিচে নীল তিলটির মতো একা
বুকে রক্তকরবীর মতো ক্ষত নিয়ে নিঃসঙ্গ একাকী
সংঘবদ্ধ হওয়ার ঐক্যবদ্ধ থাকবার মূলমন্ত্র
সে কেবলি ভুলে যায় ভুলে যায়….

১.১.৯৩ লন্ডন