যমুনাপাড়ের মেয়ে
উরুভুরু উড়িয়ে বাতাস
নীল যমুনা
কতদিন ডাকেনি তোমায়!
কতদিন একাকী মগ্নমনে
দ্যাখোনি সোনালি সূর্যোদয়
বেলেহাঁস পানকৌড়ির
ডুবসাঁতার মাছরাঙার শিকার
বুদবুদের মতো ডিঙি নাও
অচেনা বন্দর থেকে ছুটে আসা
সুদূর মাস্তুল।

কতদিন শোনোনি লঞ্চ
স্টিমার আর ভাঙনের শব্দ
পাড়াভাঙা মানুষের হাহাকার!
যমুনাপাড়ের মেয়ে
শৈশবের ডুবঝাঁপ খেলা
নদীকে ভুলে যাবে এত সহজে
একবারও কি পড়ে না মনে?

তোমার নিটোল ছবি আঁকা জলরেখা
তোমার চোখের মতন নিতল নদী
আজ খাঁ খাঁ বালিয়াড়ি পাল তুলে ভাটিয়ালি গেয়ে
আর দূরদেশে যায় না উজান মাঝি।

সুদূর দ্বীপের মতন সবুজ গাঁয়ের ছবি
ভাসে না চোখে আর
শ্রান্ত ক্লান্ত চোখ শুধু ধু-ধু মরীচিকা
তৃষ্ণার্ত কাতর চেয়ে থাকে।

যমুনাপাড়ের মেয়ে
নীল যমুনায়
এসো ফিরে একবার
আহা! কতদিন তুমি জুড়াওনি আতপ্ত তনু
সুশীতল জলে
কতদিন হয়নি মিলন।
কেঁদে কেঁদে আজো বেজে যায়
আকুল মোহন বাঁশি
শুনতে কি পাও তুমি?

মার্চ ‘৯৪ সিরাজগঞ্জ