মোহন চলতে জানে স্থবিরতা জানে না – নিশাত খান

শোণিতে যার প্রমত্ত যমুনার আনন্দ-কান্না, ভাঙা গড়া, উচ্ছাস ও বেদনায় হিংস্র হিরন্ময় উদ্দাম ভালোবাসা নিয়ত ক্রিয়াশীল। যমুনা তাকে দিয়েছে মুগ্ধ বিস্ময় আর দুরন্ত চলার গতি। মোহন চলতে জানে স্থবিরতা জানে না। অফুরান প্রাণশক্তি আর আত্মবিশ্বাস পেয়েছে সে স্বীয় সৎ মনোজাগতিক ভুবন, চারিত্রিক ক্ষিপ্রতা ও কর্তব্য নিষ্ঠার প্রতি অবিচল আস্থাজাত একাগ্র সৃষ্টির উল্লাস। ঈর্ষণীয় সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ রেখেছে সে বারবার প্রতিকূল প্রতিবেশের বিপক্ষে একাকী যুদ্ধ করে। তার কবিতা সামাজিক দায়বদ্ধতার ঋণ পরিশোধ করেছে ষোল আনা। যখন সমাজ ও রাষ্ট্রজীবনে দেখা দেয় বন্ধ্যা সময়, অস্তহীন অচলায়তন, বিবেক লুকিয়ে রেখে, চোখে ঠুলি বেঁধে স্বার্থ সিদ্ধির জন্য শুরু হয় ইঁদুর দৌঁড়, তখন মোহনদেরই এগিয়ে আসতে হয়েছে- যুগে যুগে অসত্যের মুখোমুখি সত্যের বাণী নিয়ে। সারা বিশ্বের বিপন্ন মানবিকতা অত্যাচারিত আর মুক্তিকামী মানুষের দুঃখ কষ্ট বুকে ধারণ করে তাদের স্বপক্ষে অবস্থান চিন্তা-চেতনায় কবিতার চরণে চরণে একজন কবির সততারই স্বাক্ষর। যেই স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে মোহন প্রতি নিয়ত। জয়তু মোহন।

Leave a Reply