তুমি আমার কাছে কিছু চাইলে তা দেয়ার মধ্যে আমার যে কি আনন্দ!
আসলে নেয়ার চে’ দেয়ার আনন্দ অনেক বেশি তা যতো সামন্যই হোক। জীবনটাই উজাড়
করে দিতে চেয়েছিলাম মানুষের জন্য। পারিনি। মানুষের দেয়া দুঃখই বরাবর সেই মহানুভব
থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমিও মানুষ বলেই অতোটা ধারণ করতে অতোটা নিঃস্বার্থ হতে পারিনি।

মানুষ বলেই বোধ হয় আমিও চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠতে পারিনি। মানুষের এই দীনতা
আমাকে হয়তো বড় মানুষ হতে দিচ্ছে না। রবীন্দ্রনাথ, টলস্টয়, হোমার ওরা কি মানবিক চাওয়া পাওয়ার সম্পূর্ণ উপরে ছিলেন?

আমি জানি না, জানি না, কিছুই জানি না। আমার মুক্তি কোথায় কিভাবে?

খুব বড় করে একটা কিছু গড়তে হলে তাকে ভাঙতে হয়। ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ করে মিশিয়ে
তিল তিল করে গড়তে হয়। কংক্রিটকে কি ভেঙে গুঁড়িয়ে রক্ত মাংসের হৃদয়ময় মানুষে
পরিণত করা সম্ভব?

আমি যতবার কারো হাতে ফুল তুলে দিতে চেয়েছি ততবার সে আমাকে পাথর ছুঁড়ে রক্তাক্ত
করে দিয়েছে। এই আমার অভিজ্ঞান এই আমার জীবন।

তবু আমি বার বার মানুষের পায়ের কাছে নতজানু হয়ে ভিক্ষা চেয়েছি-ভালবাসা!
চির দুঃখের সম্রাট।

১.১২.৯৮
ঢাকা