বেদনার বেলভূমিতে এক সবুজ মায়াবী বৃক্ষ
সুনীল সমুদ্র এসে আছড়ে পড়ছে ঢেউয়ে ঢেউয়ে
শাখা নেড়ে পত্র দুলিয়ে কিসের হাতছানি
দিয়ে যায় ইশারায় ডেকে ডেকে।

কাঁদো কাঁদো বিশাল জলরাশি
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে ডুকরে ওঠো
তোমার দীর্ণ হৃদয়, কত প্রাণী বেঁচে
থাকে তোমার অতল বুকে, ধারণ
করে দেখ কি সুশীতল অবগাহন
অথচ তোমার ফেননিল অতৃপ্ত বাসনা
ছিটকে পড়ে গহীন
গাঙের উথালি পাথালি।

নিমুতি রাতের রাখালিয়া বাঁশি
সে কি কেবলি কাঁদাবে তোমায়
তোমার অবিরাম কান্নার ধ্বনি
শুনিবে না কেহ কোন দিন জেনেও
তুমি কি কেবলি ভেঙে যাবে
বহুদূর মোহনার স্কিত নদী তটে
বালুকা বেলায় বয়ে যাবে
মৃদু স্রোতস্বিনী বিরহিনী বাউল
এক নীরব কান্নার নিথর সিষ্পনি।

আহা মানুষ! আহারে জীবন
সকলেই কামুক নয় কেউ কেউ কবি
সৌন্দর্যের আদিভূমি কর্ষণ করতে
চায় যে থরো থরো ক্রিসেনথিমাম
এক ফোটা ভোর শিশিরে ফুটে ওঠা
নিশুতি জ্যোৎস্নার ফ্রেমে
আঁকতে চায় যে একখানি
অপরূপ মুখ। তবু তারে চিনিল না
কেউ জানিল না।
মানুষের মতো তারে মানুষীর ঘৃণা
কুড়াতে হবে কি সারাটি জীবন?

ঢাকা