আমার হবে না কিছুই ভেবে
যে সকল প্রেমিকারা সরে গেছে দূরে
বাড়ি গাড়ি কড়ি গহনা শাড়ির জোগানে
মাছিমারা কেরানির সামর্থ্যও হবে না
এই দুঃখ বুকে চেপে যৌবনের
দারুণ তুমুল দিনগুলোতে আমাকে ভালবেসে
সুখ পেয়েছিল সুন্দরী ও অসুন্দরী যে নারীরা
তারা আজ কে কোথায়? দেশে ও বিদেশে সুখে ও দুঃখে
সংসারে ও বৈরাগ্যে সোহাগে অনাদরে
অবহেলায় না ভালোবাসায় কষ্টে না প্রেমে
আনন্দে না বেদনায় আছে জানি না।

তবে কারো কারো দীর্ঘশ্বাস মাঝে মাঝে
পাংচার করে দেয় আমার গাড়ির চাকা
দুর্ঘটনায় মুখোমুখি করে।

চেকবইয়ে প্রায়ই অঙ্ক বসাতে ভুল হয়ে যায়
শহরের অভিজাত শাড়ি ও গহনার দোকান আর রেস্তোরাঁ
হাহাকারে ভ’রে রাখে
নিরিবিলি গৃহকোণ আরাম ও আয়েশের
সব আয়োজন জেলখানার দুঃসহ সেলে পরিণত করে।

আমার হবে না কিছুই ভেবে
সারাক্ষণ আফ্সোসের লালা ঝরাত যারা
তারা আজো বলে যায়মত ও পথ বদলালে
আমি আরো বহুদূর যেতে পারি পাহাড়চূড়ায়।

আহারে আমার খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা!
আমি কি চেয়েছি ঘুণাক্ষরেও হাতের মুঠোয়?
আমি তো চেয়েছি একবিন্দু প্রেম

কত প্রতারণার আঘাত হৃদয়ে
তবু স্বদেশের খাঁটি মাটির মতন ভালোবাসা নিয়ে
দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি ছলচাতুরী ধোঁকাবাজি
করিনি কখনো।

আমার কী হল না হল তা নিয়ে বিচলিত নই এতটুকু
যে দেশকে আমি ভালোবাসি
যে দেশের মানুষের ভালোবাসা আমাকে করেছে সাহসী
সে দেশ সে মানুষের জন্যে যুদ্ধে যেতে
আমি শুধু প্রস্তুত থাকি আর ভাসি নয়নের জলে…

আমার কষ্ট বেদনা কতটুকু কতখানি ঝরে রক্ত বুকে
সে খবর জানুক না জানুক কেউ
রাজপথ জনপথ মিছিলেই আমি থাকব
বিপরীত স্রোতে ভাসব না।

২৯.১.৯৫ ঢাকা