মোমের শরীরজুড়ে তুমুল বৈশাখ থমথম পূর্বকোণ
যে রাতে মরুর বুকে উঠল নাচন ঘূর্ণিবায়ু তুমুল বর্ষণ
ভেসে যায় খাঁখাঁ বালিয়াড়ি
প্লেয়ারে মধুর আহŸান ঠাকুরের সুললিত সুর ঘরময়
স্বপ্নিত কৈশোর জেগে ওঠে, দুরন্ত যৌবন মেলে পাখা
বিরহের সুদীর্ঘ সাম্পান যেন ভেড়ে বেহুলাবন্দর
সব সম্পদ ছেনেছুনে কেড়ে নিয়ে গেছে বিপুল বণিক
তবু কি সযতেœ রেখেছ লুকিয়ে মূল্যবান আদিম পাথর!

দুর্বার মোহন দস্যু কবে এসে করতল করবে সে ধন
গোপন প্রতীক্ষা ছিল বুঝি গহিন ভিতর মনে
সুউচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে সুকোমল নির্ঝরিণী
অবুঝ বালক-বালিকার নিবিড় পুতুল খেলা
হারানো খেলনা হাতের মুঠোয় ফিরে পাওয়ার মধুর আনন্দে।

সেইসব রতিসুখ রাতগুলো ফের হাহাকার ভায়োলিন
নিথর দুপুর নিস্তব্ধ রাতের কান্না হয়ে ঝরে পড়ে
কঠিন পাথর হয়ে যায় নিষ্প্রাণ নিষ্প্রভ মাটির পুতুল।

১২.০৩.২০১১ সিরাজগঞ্জ