নাগিনীর ক্রুদ্ধ ফণার মতন নেশাতুর হিস্হিস্
কলকাতা! জানি সব জানি, ধীরে ধীরে সব জানা
হয়ে গেছে, হয় তো বাকি আছে আরও বিস্ময়!

খেলো, আরও খেলো মোহনীয় বাঁশির সুরে সুরে
নিপুণ বেদেনী, নাচাও আরও নাচাও, দেখাও খেল
দেখাও অবাক জাদুকরী!

নৃত্যরত অভ্রভেদী স্তনের মধুময় দোলায় কাঁপাও
কাঁপাও আজন্ম উদ্দীপ্ত বীর্যের নহর
হায় কামুকিনী! হায় মায়াবিনী!
এ কোন দিশেকাড়া নিতম্বের
মাংসল উত্থানে দিগ্বিদিক মাতোয়ারা
করেছিলি প্রারম্ভেই!

রহস্যময় সেই থরথর বিকেলের
স্বর্ণবিভা আজও কেন টানে
একে একে তোর সব রূপ
ছলাকলা, সুনিপুণ অভিনয় বুঝে যাওয়ার
পরও? সব জেনে বুঝে হায় স্বার্থান্ধ
কাব্যকলা শিল্পের ভেক্ধারী
হৃদয়হীনা কোলকাতা
কেন ফিরে ফিরে আসি
তোর কাছে?

২২ মার্চ ২০০৯, শরৎ বসু রোড, কোলকাতা