ননী, তুই এখনো আমার চেয়ে অনেক সংস্কারমুক্ত
মাটিছোঁয়া আলখেল­া আর বুকছাওয়া
চাপদাাড়িতে চমৎকার ক্যামফ্লেজে ঢেকে নিয়েছিস নিজেকে!

যমুনাপাড়ের সেইসব উঠতি যৌবন রমনীরা
কৃষ্ণের মতন তুই যাদের হরণ করেছিলি দেহমন
বিলুপ্ত যৌবনে আজও তারা তোকে মনে করে!

হ্যা, একমাত্র তুইই কৈশর-যৌবনের সন্ধিক্ষণে
আমাদের সবার চে’ অগ্রসর ছিলি সবকিছুতে
আমাদের নিয়ে গিয়েছিলি লঞ্চে গেঞ্জি-লুঙ্গি-পরা
ছয়দফা খ্যাত ‘মুজিব ভাই’-এর কাছে
আমাদের চিনিয়েছিলি মক্ষিরাণী মালতীকে।

ভরা নদীতে ঝলসে ওঠা ইল্শের মতো জল-কেলিরত
মেয়েদের ডুব দিয়ে পা টেনে নেয়া কুমির কুমির খেলা
বলেছিলি-“জলভেজা নারীর শরীরের চে সুন্দর কিছু নাই”
কী মন্ত্রে তুই বশ করেছিলি সদ্যফোটা বন-ফুলগুলি
আহা! এ জীবনে হলো না শেখা সেই মহামন্ত্র।

জীবনের সব মধু বিষ শুষে নিয়ে করেছিস কী নির্বাণ লাভ?
লেবাসের নীচে এ কোন ক্ষুধিত আত্মা তোকে করছে তাড়িত এখনও?
তোর ‘অভাব’ কবিতা আজন্ম করছে পিছু ধাওয়া
আর ‘সর্বহারা নিকেতন’ সবহারাবার এ কোন পৃথিবী আমাকে দিল?

আহা! যদি এই প্রতারক নাগরিক আলখেল­া আর লাল টুপি ফেলে
তুই আমি সেই অনবদ্য সাইকেলে বাকী জীবন ঘুরে বেড়াতে পারতাম!
২৭-০৮-০৯, পুরানা পল্টন