থানাপাড়া মেয়েরা সুখি হবে না কেউই
প্রতারিত প্রেমিকের দীর্ঘশ্বাসে তাদের হৃদয়ে
জ্বলবেই তুষের অনল।

যে যেখানেই থাকুক না প্রাসাদ-প্রাচুর্যে
প্রতারক প্রেমের আত্মঘাতি লেলিহান শিখা
দাউদাউ পোড়াবেই
বুকের বাসর।
থানা পাড়ার মেয়েরা সুখি হবে না কেউই।
যৌবনের প্রারম্ভেই প্রণয়ের সুনিপুণ ছলাকলা
অনায়াসে শিখে নেয় তারা অন্তর্গত রক্তের প্রবাহে
ভালোবেসে কাছে ডেকে এনে কিছুকাল কী ভীষণ
মেতে ওঠে প্রণয়ের নিখুঁত নির্মাণে!

নিংড়ে নিয়ে সবটুকু অমৃতের ছুড়ে ফেলে পানপাত্র
ক্লিওপেট্রার মতন একটোল-বিজয়িনী হাসি হেসে
চলে যায় একদিন নির্ধারিত নিরাপদ প্রাসাদ-আশ্রয়ে!

সবই মেলে বন্দিশালার মতন সেখানে তাদের
শুধু সেই আনকোরা প্রেমিকের অমল আত্মার
সুঘ্রাণ মেলে না।
দিন দিন কস্তুরীর মতন সৌরভ বাড়ে পুরোনো প্রেমের
নিয়ত অসুখি হয়ে যায় থানাপাড়ার মেয়েরা
যা-কিছু নিতে গিয়ে যা-কিছু সে দিয়েছিল
সেটুকুই জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান মনে হয়।

প্রতারক প্রেমের অনলে পুড়িয়ে দেয় সর্বাঙ্গে-সোহাগ
পুড়ে পুড়ে পুড়ে যায় প্রতিদিন প্রতিমা-সোনার।

থানাপাড়ার মেয়েরা সুখি হয় না কেউই।

‘৮৯ ঢাকা