তোমার কাছে থেকে আসি
যেন মুমূর্ষু আবার বেঁচে উঠি
ফুসফুস ভরে নিয়ে নির্মল বায়ুতে।

জীবনের ঝুলকালি মেখে
যখনই তোমার কাছে যাই
তুমি যেন এক অলৌকিক
জাদুমন্ত্রে সব ধুয়েমুছে দাও
সব বিষ-জ্বালা সব অপরাধ
অনাচার পাপ-পচনের নষ্ট-ঘ্রাণ
ভুলের শোচনা পরাজয়ের বেদনা
হতাশার হাহাকার।

তুমি কত সহজেই ফুলের মতন আমাকে গুঁজে নাও রেশম খোঁপায়
বিজয়ের বিপুল গৌরবে অভিষিক্ত করো হৃদাসনে
আমার গলায় তুমি পরিয়ে দাও রাজমুকুট
মহাসম্রাজ্ঞীর মতন তোমার ঠোঁটে ফুটে ওঠে অপরূপা হাসি।
প্রতিদিন ভালোবাসা নামক একক পাথরে
মাথা ঠুকে ঠুকে রক্তাপ্লুত হই, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের মাঝে
হিম-মৃত্যু ছুঁয়ে দিতে চায় নীরক্ত আমাকে
তুমি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিনীতা সেবিকার মতো
কী গভীর মমতা ঢেলে, কী নিপুণ সেবায় আমাকে সুস্থ করে তোলো

যখনি তোমার কাছে যাই
তুমি এক সবুজ উদ্যানের নরম ঘাসের বিছানায়
আমাকে শুইয়ে দিলে কোমল পরশ বুলিয়ে দাও
আমার উরুক্কু চুলে, মাথায়, কপালে, ঘাড়ে, বুকে
আমি ছোট্ট শিশুর মতন নীরবে ঘুমিয়ে যাই গভীর নিদ্রায়।

তোমার কাছে যাই এক ক্ষতবিক্ষত জীবনযোদ্ধা
ফিরে আসি সুস্থ-সুন্দর সম্পন্ন মানুষ।