তুমি কি আসবে হে বৈশাখ
কমিশন ছাড়া হঠাৎ ঝোড়ো মেঘ
আলোহীন ঘরে প্রচÐ গরমে দরদর
ঘাম ঝরা শিক্ষার্থীর পড়ার টেবিলে
মুমূর্ষু রোগীর শয্যাপাশে কান্নারত শিশুর শরীরে
দমকা হাওয়ায় জুড়াবে প্রাণ?

তুমি কি আসবে হে বৈশাখ
সারাদিন সারারাত সারাক্ষণ বিদ্যুৎচমকে
আলোকিত করে রাখবে অন্ধকার বাংলাদেশ
ঈশান কোণের থমথমে মেঘ অবিরল ভিজিয়ে দেবে
পোড়া ফসলের মাঠ নাগরিক দোজখ
পানির আকাল ঘুচাতে ভরিয়ে দেবে গভীর জলের স্তর
গলির মোড়ের বিশাল লাইনে থাকা জলপাত্রগুলো।

তুমি কি আসবে হে বৈশাখ
কালবৈশাখীর উন্মত্ত ঝাপটায়
ভেঙেচুরে উড়িয়ে গুঁড়িয়ে দিতে
লুইকানের অনন্য অসাধারণ শিল্পশোভা
মিথ্যা প্রতিশ্রæতি স্বপ্ন আর আশ্বাসের কুহক?

আমরা চাই না আর মধুমাখা বুলি
শাসনভাষণ কুতর্কের লীলাভূমি
দুইবেলা পেটভাত পরনের কাপড় ঘুমাবার ঠাঁই
এই আমাদের গণতন্ত্র না হলে ভোটের বাক্স
এবার ভরিয়ে দেব চাষাভূষার শরীরের ঘাস
আর চকচকে বেøডের দু’ধার।

তুমি কি আসবে হে বৈশাখ
ক্ষুধা জ্বরা মৃত্যু হাহাকারহীন
শরতের মেঘের মতন শান্তির পায়রা উড়াল
দুধসাদা জোছনাময় স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশে।

১৩.০৩.২০১১ সেগুনবাগিচা