টেমসের তীরে দাঁড়াই খানিক
সন্ধ্যার আলোতে মায়াবী টেম্স।
আমি নই তেমন কেউ সেকসপিয়ার, শেলী, কীটস, বায়রন
কিংবা রবীন্দ্রনাথ, তোমাকে নিয়ে রচনা করবো অমর কাব্য কোনো।

আমি শুধু ভাবি কি এমন আছে তোমার আকর্ষণ, এমন কি বৈচিত্র?
তোমার দু’পাড়ে দাঁড়ানো ঐতিহ্যসমূহ আর ব্রিজের শোভা ছাড়া?
এমন কি স্রোত তোমার? কোথায় ঢেউ? পালতোলা নৌকা?
ইঞ্জিন চালিত যান ভাসে তোমার জলে, বাতিঘর খাবার দোকান।

আমি যমুনা পাড়ের লোক, আমি পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র ঘোরা
এপাড় থেকে ওপাড় দেখা গেলে তাকে আমার নদীই মনে হয় না
পাড়ভাঙা দুর্দান্ত স্রেতা, আর ভয়ঙ্কর ঢেউ ছাড়া আমি
তাকে নদী বলি না, দু’পাশে সবুজ বৃক্ষরাজী, ফসলের ক্ষেত
কাশবন ছাড়া কি নদী হয় না কি?

টেমস তুমি নদী নও, তুমি ছোট্ট একটি খাল মাত্র
তুমি মায়াবী বটে, তোমার অনেক ইতিহাস আছে
অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিরা তোমাকে দেখেছে বটে
তোমা নিয়ে লিখেছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস
তুমি তাই টেমস্। তুমি তাই এতো খ্যাত!

আমিও বিষ্ময়ে তোমাকে দেখি তাদের কারণে
তোমার পাড়ে দাঁড়িয়ে ভাবি টেম্সের তীরে
দাঁড়িগয়ে আছি, এ কি কম কথা!
তোমার পাড়ে দাঁড়াই তোমাকে
অমর করতে নয় নিজেকে।

১০.৫.২০০০
লন্ডন