এমন কি উৎসবের দিনে হাতে যে গোলাপ তুলে দিয়েছিলে
তা গ্রহণ করতেও বুঝি আমাদের কোনো ছোঁয়াছুঁয়ি হয়নি
আর্টস কলেজে কিংবা সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের সেই বিকেলে
মুখোমুখি বহুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার সময়ও আমি তোমার
এমন কি ফুলেল আঙুলগুলোও স্পর্শ করিনি।

পরম যতেœ তুমি যখন আমার পাতে নামিয়ে দিয়েছো মাছের মুড়ো
কিংবা মুরগির রান-থাক থাক- বলেও আমি তোমার ধরিনি হাত
কোন এক সকালে ঘুম ভাঙাবার জন্যে তুমি যখন একাকী আমার ঘরে ঢুকে
পানি ছিটিয়ে দিচ্ছিলে এতোটা সুযোগ পেয়েও আমি কিছুই করিনি তোমাকে।

পাশাপাশি যখন হেঁটেছি মেঠো পথে হোঁচট খেয়েও নিজেকে সামলে নিয়েছি
একদিন অন্ধকার বারান্দায় দু’জনে বসে বসে গল্প করেছি তুমি আর আমি
জ্যোৎস্নার মতোন রোদ ছড়ানো এক বিকেলে নির্জন বাড়িতে শুধু তুমি ছিলে একা
ঘুমভাঙা চোখে কি যেনো সংশয়, কি যেনো আশংকার অজানা দ্যুতি।

আমি কিছুই ছুঁইনি তোমার না হাত, না আঙুল, না ঠোঁট
না চিবুক, না চোখ, না চুল, না অন্য কিছু
একবার ঈদের দিন গাঢ় নীল শাড়ি পরে
ঘরে কনে সেজে একাকীনি বসে ছিলে খাটে
সহসা আমি ঢুকে গেলে লজ্জায় আনত তুমি
থিরথির কাঁপছিল ঠোঁট, চোকের পাতা
আমি সামনে দাঁড়াই সাহসে বুক বেঁধে
ইচ্ছে করে মুখটা তুলে গাঢ় চুম্বন এঁকে
দেবো ঠোঁটে কিন্তু দিইনি।

অথচ স্বপ্নে ও কল্পনায় কতবার কতভাবে
তোমাকে ছুঁয়েছি, তোমার সব কিছু, সব ভাবে ছুঁয়েছি।

১৩.১২.২০০১
ঢাকা