নীরব ঘাতক ঘোরে চারিপাশে
পুষি দুধকলা দিয়ে নিবিড় আশ্রয়ে
দিই মেঘের আড়াল, সূর্যের ছাউনি
অবারিত সবুজের ঢেউ বৃষ্টির মাতম।

মারাত্মক মারণাস্ত্র গোপনে লুকিয়ে তবু
চারপাশ ঘিরে থাকে স্বজনের ক্যামফ্লেজে
সুযোগের অপেক্ষায় থাকা এই সব ঘাতকেরা
নিপুণ কৌশলে হিমোগ্লোবিনে বাড়ায় বিষক্রিয়া।

চোখকান হৃদয়বিহীন এইসব পাথরেরা
প্রাগৈতিহাসিক ব্যবহারে এতই অভ্যস্ত
মানবিকতার লেশমাত্র নেই চেতনায়
স্বার্থবোধ ছাড়া আর জানে না কিছুই।

অপদার্থ অকৃতজ্ঞ ঘাতকের ঘেরাটোপে
প্রতিদিন পলে পলে রক্তাক্ত হৃদয়
বিত্ত-বেসাত স্বজন বন্ধু কর্মী নীরব ঘাতক হয়ে
অদৃশ্য আঘাতে নিয়ত নিহত করে নিত্যদিন
তবু কেন এই বেঁচে থাকা কোন অলৌকিক প্রয়োজনে
কোন মরীচিকা প্রেমে কোন দুরাশার আশা?

১৭ আগস্ট ২০০৮, পল্টন, ঢাকা