দ্রোহ বিদ্রোহ বিপ্লব গণঅভ্যুত্থান দূরে থাক
প্রেম কিংবা ভালবাসা চাঁদ কিংবা জ্যোৎস্না নদী নারী
নিঃসর্গ নীলিমা এসবেও সুনিপুণ ব্যবহার পারঙ্গম
আমাদের আমলা কবিরা কেন না এসব সর্বজনগ্রাহ্য
শব্দালুও যদি কোনোভাবে পক্ষে যায় ইতরজনের?

কবি কি আমলা হন কিংবা আমলা কি হয় কবি?

আমলার থাকে কামলার গুণাগুণ বেড়াজাল নিয়মের
থাকে শাসনের রাঙাচোখ পদ ও পদবী
প্রমোশন-পোস্টিং, তোষণ-পোষণ, শাসকের তাঁবেদারি
সত্য-মিথ্যা ন্যায়-অন্যায়ের থাকে না বালাই
স্বজন-সুজন বন্ধু-প্রিয় কুসুমানুভূতি
চাপা পড়ে থাকে প্রভুপদতলে
ঝকঝকে টাইস্যুট চকচকে পামসু-পা
পঞ্চেন্দ্রিয়ে আলপিন এঁটে আপাদমস্তক আমলা
কী করে হবে ভাবের বাউল?

কবি তো স্বাধীন সার্বভৌম, মানে না আইন কোনো
প্রিয়-অপ্রিয় তোষণ-পোষণ কখনোই ধারে না ধার
দীপ্রদুপুর নীরব গোধুলি আধারকালো জ্যোৎস্নার ভেতরে
আদিগন্ত কী ভীষণ পথচলা মহান কবির
পৃথিবীর নির্ধারিত কোনো জুতা কিংবা শৃঙ্খলই
লাগে না কবির পায়ে।

কবি কবিই, কবি কি কখনো হয় আমলা?

আমলার জুতার ভেতরে ঢুকে গেলে
কবি-আত্মার করুণ মৃত্যু ঘটে।

১২ আগস্ট ২০০৮, পল্টন, ঢাকা