এভাবে চমকে দেবে ভাবতে পারিনি
উৎসবের কোলাহলে চোখ তুলতেই দেখি তুমি
নাকি দৃষ্টিভ্রম অবিশ্বাস্য চোখে দেখে নিই ভালভাবে
হ্যাঁ, তুমিই জলজ্যান্ত দাঁড়িয়ে রয়েছো সমুখে আমার
নিজের চোখকে যেনো নিজেরই বিশ্বাস হয় না
অথচ তুমিই তুমি হয়ে ফুল­ হাসিতে করছো
উদ্ভাসিত চতুর্দিক।

তোমারও চোখে ছিল বিপুল বিষ্ময় এভাবে আমাকে পেয়ে
পাশে এসে বসে জিজ্ঞাসা করলে অনেক কিছুই
বছর কয়েক পর এভাবে তোমার সঙ্গে দেখা
মাঝে কতদিন চলে গেছে না বলা অনেক কথা
অথচ কিছুই বলতে পারি না নিঃশব্দ নীরব অভিমানে
শুধু মন ভরে ওঠে।

পাখিদের যেমন থাকে না সীমান্ত প্রাচীর
কবিরাও তেমনি পাখির মতো মুক্ত বিহঙ্গ সুদূর
পাখির ডানায় তুমি যেতে পারো
যখন তখন যেখানে যেমন খুশি
পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের সীমানায়
কে তোমাকে রুখতে পারবে কিবা প্রয়োজন?

তবু আমারই বাংলায় আসবে তুমি আমি তার জানবো না কিছু
থাকবে না কোন আয়োজন নিজস্ব আমার
এও কি সম্ভব মেনে নিতে হবে ললাট লিখন
বিধাতা কেবল আমারই ভাগ্যে লিখে দেবেন এমন দুর্ভাগ্য?

১.২.২০০২
ঢাকা।