অসময়ে চলে যাওয়া ঠিক হলো ফারুক
এ রকম সবকিছু অগোছালো এলোমেলো রেখে?
সবাই তো চলে যাবে, যেতে হবে
তাই বলে এ রকম হুটহাট অস্বাভাবিক প্রস্থান!

অবিশ্বাসেরও অবিশ্বাস্য তোমার চলে যাওয়া
এ কেমন চোরাবালিতে রেখেছিলে পা
ক্রমশঃ ক্ষয়ে যাওয়া এতটুকু পাওনি টের!

আকাক্সক্ষার বিপরীতে বয়ে নেওয়া এ কোন জীবন
নিঃশব্দ ঘাতক হয়ে প্রতিদিন খুবলে খেয়েছে তোমাকে
স্বপ্ন-সাজানো কবির হাতে প্রতিদিন স্বপ্নহীন মানুষের
বিমূর্ত সংবাদ সাজাবার অসহ্য মানসিক চাপে
অ্যাড্রেনালিন মহাঘাতক! এত দ্রুত কেড়ে নিল কবির জীবন?

রোরুদ্যমান স্ত্রী ও হতবাক পুত্রের কী সান্ত্বনা রেখে গেলে
এ পৃথিবীতে হে সু-স্বামী, হে সু-পিতা?
কর্মকেই ধর্ম মেনে যে জীবন উৎসর্গ করেছিলে
মানুষের কল্যাণে; সে জীবন পাহাড়ের মতন ভারী
হয়ে উঠল কেন প্রিয়জনের?

সহোদর-সহযোদ্ধার মতন যূথবদ্ধ আমরা একদা
বুনেছিলাম যে মানবিক স্বপ্নবীজ, এত স্বেদ, এত
রক্তজল ঢেলেও কেন ফোটাতে পারিনি ফুল?
স্বপ্নভঙ্গের গোপন রক্তপাতে ক্ষয়ে যাচ্ছি সকলেই
কবির চেয়েও কবি তুমি প্রেমিকের অধিক প্রেমিক
বুঝিবা অধিক রক্তক্ষরণে, নীরব যন্ত্রণায়
সকলের চেয়ে আগে চলে গেলে!
তোমার এ অকাল মৃত্যুর ভার কীভাবে সইব আমরা?

০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯, ঢাকা