মনে করো, মধুপূর্ণিমাÑ
জাহাজের ডেক ভেসে যাচ্ছে ঝলমল জোছনায়
পাশাপাশি কুয়াকাটা যাত্রী
অপার্থিব চেয়ে থাকে

চেনে না কেউ কাউকে
যতদূর নীলজল আর রুপালি জোছনার খেলা
নীলফ্রক কিশোরী ও ইলিশ ঝাঁকের ছুটোছুটি!

মনে করো, মধুপূর্ণিমাÑ
বাতাসে উড়ছে শাড়ির আঁচল
উড়ে যেতে চাইছে কোথাও
ফুল্ল প্রজাপতির মতো নাচছে
কপালে কুঞ্চিত কেশ
যেন চাঁদমুখ থেকে ঝরছে
অলীক মঞ্জিমা জোছনার

মনে করো, মধুপূর্ণিমাÑ
ষোড়শ শতকের মাতাল রাজা
সারারাত গøাসে গøাসে পান করে
প্রকৃতি ও মানবীর অতুলনীয় সুধা
আর চায় না কিছুÑ না রাজ্য না ধন

এমন অবচেতনায় ডুবে যেতে যেতে
ঠোঁট ফসকে বেরিয়ে গেলÑ
কী অপূর্ব! কী অদ্ভুত! কী সুন্দর!

আচমকা মুগ্ধতার অতল গভীর থেকে
অত্যাশ্চর্য মৎস্যকন্যার মতো জেগে উঠে
স্মিতহাস্যে মুখ ফেরাল মোহন বিস্ময়ে
কাছে এসে বললÑ আহ্! এতো সুন্দর!

সারারাত সেই স্বপ্নের ভেতর ডুবতে ডুবতে
ভাসতে ভাসতে সেই অপরূপ জোছনার অবিমিশ্র রঙে
আমরা কি আঁকতে পারতাম একটি অনন্য সৃজনশীল
ভালবাসার পৃথিবী?

০৫.০২.২০১২ সেগুনবাগিচা