বিনিদ্র রাত্রির অঙ্গার থেকে জেগে ওঠা ভোর
দেখে, এখনও রক্তজবার মতন ব্যথিত চোখে সে
খুঁজে ফেরে তোমাকেই। কোথায় হারিয়ে গেলে
কত দূর, পৃথিবীর ওপারে আরেক পৃথিবীতে?
অন্য কেউ? অন্য কোন সুহৃদয়, সুনিপুণ শুশ্রƒষায়
রক্তাক্ত তোমার হৃদয় গোলাপঘ্রাণে তুলছে ভরিয়ে?

লেলিহান চিতার মতন এই সব দাউ দাউ রাত
শুধু জানে, কীভাবে বিরহী চাতকের নীড় পুড়ে যায়
মানুষের অগোচরে মধ্যরাতে খসে-পড়া আকাশের
তারার দহন, কোনোদিন কোনো তরঙ্গ কি পারে
পৌঁছে দিতে দূর সমুদ্রের সুমন্দ্রিত-প্রাণে?

ভোর জাগানিয়া মুয়াজ্জিন, পুরোহিত, তরুণী শিক্ষিকা
রিকশাচালক, প্রাতঃভ্রমণকারী কেউ কি জানবে কোনোদিন
কারও কারও ভোর নেই শুধু রাত, অনন্ত আঁধার রাত
ওদের জাগাতে হয় না তো, ওরা জেগে থাকে, জেগে থাকে সারারাত
রক্তজবার মতন অনিদ্র আহত চোখে
গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ-হেমন্ত-শীত ও বসন্তে…

২০০৮, ঢাকা